ভিসা কিভাবে করতে হয়

23602 Rakibul
By -
0

ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা এমন একটি নথি, এই নথি ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারবেন না। আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ভিসা কিভাবে করতে হয়।

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে ভিসা কি আমরা সেটাই জানি না। ভিসা দিয়ে কি করতে হয় অনেক লোকই এটা বলতে পারবেনা। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ভিসা কিভাবে করতে হয়। আপনারা যারা ভিসা কিভাবে করতে হয় জানতে ইচ্ছুক তারা আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ ভিসা কিভাবে করতে হয়

ভূমিকাঃ ভিসা কিভাবে করতে হয়

আমরা যখন বিদেশে ভ্রমণ কিংবা পেশার জন্য কিংবা জরুরী কাজের জন্য দেশের বাইরে গিয়ে থাকি। তবে কোন বাধা ছাড়াই এক দেশ থেকে আরেক দেশ যেতে পারে না। এই বাঁধার জন্য আপনার কাছে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখবে।

এই প্রয়োজনীয় কিছু জরুরী কাগজের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভিসা অন্যতম। আমরা অনেকেই কাজের জন্য হঠাৎ করে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিংবা আমরা অনেক শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।

ভ্রমণের জন্য কোন এক ভিসা প্রয়োজন হয়। তাহলে কিভাবে আমরা এই ভিসা করতে পারব সেই বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হবে। আপনারা যারা কিভাবে ভিসা করতে হয় জানেন না। তারা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে আশা করি ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয় নিয়ে জানতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসা

ভিসা কি

ভিসা হল এমন একটি নথি যা একটি দেশ কর্তৃক জারি করা হয় একজন বিদেশি ব্যক্তিকে সেই দেশে। ধরুন আপনি কোন দেশে ভ্রমণ বা কাজের জন্য গেলেন আপনি যে দেশে প্রবেশ করবেন সেই দেশের যাওয়ার জন্য পারমিশন লাগবেন এবং পারমিশনটাই হলো ভিসা।

ভিসা ছাড়া আপনি একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারবেন না। দেশ থেকে আরেকটি দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করা হয়। ভিসা ছাড়া অন্য দেশে প্রবেশ করা একেবারেই নিষিদ্ধ। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের বিভিন্ন স্টিকার লিখে সিল বা স্টিকার লাগিয়ে বাস জারি করা হয়।

একটি ভিসা মওকুফ নীতি দুই দেশের মধ্যে চুক্তির ওপর ভিত্তি করে। সেই ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অপরের ভিসা স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। এমন অনেক দেশ আছে যাদের মৌকুফ চুক্তি রয়েছে যার অর্থ হলো একটি বিদেশী দেশ থেকে সাহায্য পাওয়ার বিনিময়ে কিছু আইন বা প্রবিধান থেকে নিজেদের অব্যাহিত দিতে পারে।

ভিসা কত প্রকার ও কি কি

এখন আমরা জানবো ভিসা কত প্রকার ও কি কি। ভিসা হল একটি নির্দিষ্ট দেশের প্রবেশের অনুমতি। কোন দেশ একটি বিদেশি নাগরিককে সেই দেশের টাকার এবং প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই ভিসা ইস্যু করার জন্য প্রতিটি দূতাবাসের একটি কনসুলার শাখা রয়েছে।

তাহলে আপনি এতক্ষণে নিশ্চিত বুঝে গেছেন যে ভিসা কি জিনিস। আপনি ভিসা ছাড়া এক দেশ থেকে আর এক দেশে কখনোই যেতে পারবেন না। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভিসা আছে। অনেক ধরনের ভিসা পাওয়া যায়।

চলুন জেনে নিন ভিসা কয় ধরনের হয়ে থাকে-

১। ব্যবসায়িক ভিসা

২। কার্যছুটি ভিসা

৩। বিনিয়োগকারী ভিসা

৪। অভিবাসী ভিসা

৫। পর্যটন ভিসা

৬। ছাত্র ভিসা

৭। কর্মভিসা

৮। এক্সচেঞ্জ ভিসিটর ভিসা

৯। ট্রানসিট ভিসা

১০। গৃহকর্মী ভিসা

১১। ধর্মীয় কর্মী ভিসা

১২। সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিক ভিসা

ভিসা কিভাবে করতে হয়

প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা আলোচনা করব আপনারা ভিসা কিভাবে করবেন। আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি ভিসা কি ভিসা কত প্রকার ও কি কি। ভিসা কিভাবে করতে হয় এর উত্তর হল যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন। আপনার হাতের মুঠোফোন নিয়ে ভিসা করতে পারবেন।

আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি দিয়ে আপনি সহজেই ভিসা করতে পারবেন। শুরুতেই প্রথমে আপনাকে গুগলে যেতে হবে গুগলে গিয়ে লিখবেন বাংলাদেশ ভিসা। লিখে খোঁজ করলে আপনার সামনে চলে আসবে বাংলাদেশ সরকারের ভিসা ওয়েবসাইট www.visa.gov.bd এই ওয়েবসাইটে কি আপনার পছন্দের দেশের জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

অনলাইনে ভিসা করার নিয়ম

এখন আসি আপনারা অনলাইনে কিভাবে ভিসা করবেন। আপনি যদি অনলাইনে বিচার আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের ওয়েবসাইট www.visa.gov.bd এই ওয়েবসাইটটিতে ঢুকবেন। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহারকারীর প্রয়োজন।

1. অনলাইন ভিসা আবেদন পূরণ করুন এবং জমা দিন

2. সম্পূর্ণ ফর্ম প্রিন্ট করুন

3. প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ প্রিন্ট করা ফরম তিনদিন ভিসা ফ্রি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিকটস্থ ভিসা অফিসে বাংলাদেশ মিশনে পেমেন্ট করুন।

শুরুতেই ইমেইল প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে ফেলা হবে। পাশাপাশি ক্যাপচা কোড প্রদান করে প্রাথমিক যাচাই করণ শেষ হবে। এক্ষেত্রে বৈধ ইমেইল এড্রেস দেওয়া আবশ্যক পরবর্তী সময়ের জন্য।

ব্যক্তিগত তথ্য

এই অংশে আবেদনকারীর নিজের যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করবেন। নিজের নাম জন্ম তারিখ ঠিকানা নিজের ছবিসহ আরো প্রয়োজনে তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এই অংশে সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। এছাড়া ওর নিজের সাথে যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

ভিসা তালিকাভুক্তির ধরন

এই ধাপে নিজের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করতে হবে যে ভিসার কেমন ধরণ।

ভ্রমণ নথি

এই অংশে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। ইসু ও মেয়াদ শেষ এর সময় উল্লেখ করতে হবে। এরপর নেক্সট এ ক্লিক করুন।

পেমেন্ট তথ্য

কোন ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট নিশ্চিত করা হচ্ছে সেটা সঠিকভাবে প্রমাণ করতে হবে ব্যাংকের যাবতীয় সঠিক তথ্য হতে হবে। পেমেন্টের পদ্ধতি ভুল হলে ব্যাংকের সাথে এলোমেলো হয়ে যাবে পেমেন্ট এর তারিখ উল্লেখ করে পরের ধাপে যেতে হবে।

ভিসা সংক্রান্ত না এমন প্রয়োজনীয় তথ্য

এখানে নিজের বাবা-মার তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। তাদের সকল তথ্য ও পরবর্তীতে যাচাই করা হবে কবে ভ্রমণ করেছে সেটা উল্লেখ করতে হবে। শেভ করে পড়ে ধাপে যেতে হবে।

ভিসা অফিসের তথ্য

এই ধাপে ভিসা কোন অফিস থেকে সংগ্রহ করা হবে তা জানানো হবে। এরপর সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে।

নথি যাচাই করুন

সর্বশেষ ধাপ টি হল এই ধাপের লিস্ট এর মধ্যে থেকে যেসব নথি হাইকমিশনে পাঠানো হবে তা বাছাই করতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুপারিশ চিঠি বাবা-মার ভিসা কপি পাসপোর্ট কপি জন্ম সদন ছবি তিন নাম্বার তিন সার্টিফিকেট এর মত আরো অনেক নথি।

আরো পড়ুনঃ ভিসা চেক করার নিয়ম

শেষ কথাঃ ভিসা কিভাবে করতে হয়

তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের এই পোস্টে। এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে  ভিসা করবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ভিসা করতে হয়। আশা করি আপনারা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ভিসা করতে হয়।

আপনারা যারা এখনো বুঝতে পারেননি কিভাবে ভিসা করতে হয়। তারা আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়বেন। এরকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)