আমাদের চুলের যত্ন নেয়ার জন্য আমরা দৈনন্দিন কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। চুল সুন্দর করে রাখার জন্য আমরা অয়েল ম্যাসাজ, নানা রকমের হেয়ার প্যাক, দামী দামী কত শ্যাম্পু ইত্যাদি চুলে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এখন কথা হলো শুধু কি এইসব করলেই হবে? যদি চুল আমাদের শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিগুণ না পেয়ে থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিছু কিছু খাবারের ব্যাপারে আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই যেসকল খাবার গ্রহণ করলে আপনার চুলের যত্নে আসবে পরিপূর্ণতা এবং চুল হবে শক্ত মজবুত-ঝকঝকে ও সুস্থ্য-সবল।
তবে হ্যাঁ আমি কিন্ত পুষ্টিবিদ নই কিন্তু শরীর সুন্দর সু-স্বাস্থ্যের রাখার জন্য আমার অনেক বেশি আগ্ৰহের কারণে এই সকল কারনে আমি নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করে লেখালেখি করি।
চুলের যত্নে রাখার জন্য যে খাবারগুলো গ্রহণ করা দরকার:
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাছাড়া প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে মাথার চুল পড়ে যায়, চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়, চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
আরও পড়ুনঃ মাহে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ আমল ও রমজানের ফজিলত ২০২১
- প্রোটিন: আমাদের চুল সাধারণত কেরাটিন দিয়ে তৈরি। এটি হচ্ছে অ্যামিনো এসিড দাঁরা গঠিত এক ধরণের প্রোটিন। তাই আপনি যদি চান আপনার মাথায় নতুন চুল গজানো প্রয়োজন তার জন্য অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ জরুরি বিষয়। চুলের যত্নে খাবার তালিকায় প্রতিদিন মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম এগুলোর অন্তত যেকোন একটি রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া রয়েছে দই, দুধের চেয়েও বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন, সয়াবিন, ওট, মটরশুঁটি, কলা, কাঁঠাল, বাদাম খাবার থেকে পেতে পারেন। তবে হ্যাঁ নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেশি পরিমাণ থাকে।
- ভিটামিন সি: চুলের যত্নে আপনি পেয়ারা, লেবু, কমলা, আমলকী, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে গ্রহণ করতে পারেন। কেননা এই খাবার গুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া সাইট্রাস জাতীয় যেকোনো ফলমুলে রয়েছে বেশি পরিমানে ভিটামিন সি। যা গ্রহণ করার ফলে আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সাহায্য করে থাকবে।
- আয়রন আর জিঙ্ক: আয়রন আর জিঙ্ক গ্রহণ করার ফলে মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আর নতুন টিস্যু গঠনে এবং ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক গ্রহণ নতুন এবং খুব তারাতারি চুল গজানোর বা নতুন চুল তৈরির জন্যে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে আয়রন ও জিঙ্ক। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন।
- কালোজিরা: ইসলামে বলা হয়েছে যে কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ শুধুমাত্র মৃত্যু ব্যাতিত।কালোজিরা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুলের জন্য কোন তেল ভালো? চুলের যত্নে আপনি চাইলে মাথায় কালোজিরার তেল এবং খাবারে কালোজিরা ব্যবহার করলে দেখবেন এটি অনেক বেশি ভালো মানের ফল দিচ্ছে।
- পানি: চুলের যত্নে প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করুন। বেশি বেশি পানি পান করার ফলে যে আমাদের ত্বক শুধু ভালো থাকবে তা কিন্ত নয়, বেশি বেশি পানি পান করার ফলে আমাদের চুলও থাকবে ঝকঝকে, নতুন ও স্বাস্থ্যোজ্বল।
গাজর, পাকা টমেটো, আমলকী, কিউই, পালং শাক, অ্যালোভেরা, শসা ইত্যাদি খাবারগুলোর জুস করে আপনি যদি প্রতিনিয়ত গ্রহণ করেন তাহলে আপনার চুল থাকবে প্রাণবন্ত। তাছাড়া এইসকল খাবার আমরা নিয়মিত চিবিয়েও গ্রহণ করতে পারি। এইভাবে যদি আমরা আমাদের খাবারের দিকে লক্ষ্যে রাখি তাহলে আমরা আশা করি মজবুত, সুন্দর, ঝকঝকে, প্রাণোবন্ত চুলের অধিকারী হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।