নতুন করোনাভাইরাসের ৩ লক্ষণ | করোনাভাইরাসের লক্ষণ ও চিকিৎসা কী

হাসিবুর
By -
0

বিগত এক বছর ধরেই করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে আসছে। শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের ২য় ধাপ। গত বছরের ন্যায় আবারও নতুন করে করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জ্বর-সর্দি-কাশি এগুলা ছাড়াও করোনার আরও বেশ কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি লক্ষণ। এই সকল লক্ষণ গুলি সাধারণ হলেও করোনার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।

করোনাভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে নাক দিয়ে গন্ধ না পাওয়া এই সমস্যার পাশাপাশি শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাগুলো সাধারণভাবে মেনে নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। সাধারণ কিছু এই সকল সমস্যা হতে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন লক্ষণ।

লালচে বা গোলাপি চোখ

গোলাপি চোখ বা কনজেক্টিভাইটিস আইস করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। যার ফলে চোখ লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে এবং চোখ থেকে পানিও বের হতে পারে। যারা করোনাভাইরাসের ২য় ধাপে নতুনভাবে যারা সংক্রমিত হয়েছ তাদের মধ্যে অনেকের চোখে লালচে ভাব লক্ষ্য করা যায়। চোখ লালচে হয়ে ফুলে গেছে এমন কয়েকজনের নাকের সোয়াব পরীক্ষা করে জানা গেছে তাদের মধ্যে বেশির জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

চোখ দিয়েও আমাদের শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। যাদের শরীরে এই করোনাভাইরাস চোখ দিয়ে প্রবেশ করে তাদের চোখে এই রকম লাল হতে পারে। তারপর করোনাভাইরাসটি ফুসফুসে আক্রমণ। করোনাভাইরাস চোখের মধ্যে থাকা অকুলার মিউকাস মেমব্রেনের সাহায্য শরীরে মধ্যে প্রবেশ করে। তবে হ্যাঁ এটি এই ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসটি দৃষ্টি শক্তির উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কিনা সেই বিষয়ে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ মেছতা কেন হয়, মেছতা দূর করার উপায়

শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে

হঠাৎ করে কানে না শোনার সমস্যাকেও এই সময় হেলা ফেলায় নেওয়া যাবে না। কেননা এই হঠাৎ শ্রবণশক্তি কমে যাওয়াই হতে পারে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ। একটি পরিক্ষা অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে শ্রবণ শক্তি কমতে থাকে পারে। কানের মধ্যে বিরক্তিকর শব্দ হতে পারে শোঁ শোঁ করতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের ওপর পরীক্ষা করে এই রকম তথ্য মিলেছে। পরিক্ষা অনুসারে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের মাঝে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার নমুনা পাওয়া গেছে।

গ্যাস্টিকের সমস্যা

সাধারণত সবার এই কমবেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা জাঙ্কফুড বেশি গ্রহণ করে থাকেন। তবে এই সমস্যাকে এখন সাধারণ না ভাবাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ করোনার উপসর্গ হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। গবেষণায় জানা গেছে, ডায়রিয়া ও বমি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। করোনায় আক্রান্ত অনেকের শরীরেই লক্ষণটি প্রকাশ পেয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, করোনাভাইরাস শ্বসনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ফলে কিডনি, যকৃত ও অন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে এই ভাইরাস।

এজন্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, হজমে সমস্যা এবং ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এজন্য এসকল সমস্যা সাধারণভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদী এসকল সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

আরও পড়ুনঃ কি কারণে কিডনিতে পাথর হয়

শারীরিক দুর্বলতা ও আলসেমি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় শারীরিক দুর্বলতা ও আলসেমিকে। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় সবাই প্রচণ্ড ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব করেন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকগণের ধারণা যে ‘সাইটোকাইনস’এর উপস্থিতি। এই উপাদানটি তৈরি হয়ে থাকে শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা থেকে কোনো না কোনো জীবাণুকে ধ্বংস করার মাধ্যম হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে ব্যস্ত, শরীর তখন ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)