ব্লাড সুগার কমানোর উপায়

25427 Sakhawat
By -
0

ব্লাড সুগার কমানোর উপায় এটা আমরা প্রায়ই কোথাও না কোথাও সার্চ দিয়ে দেখি। এটি এখন বাংলাদেশে কমন রোগ হিসাবে ধারণ করছে তাই এটা আমাদের সতর্কতামূলক ভাবে চলতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে ব্লাড সুগার কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে ব্লাড সুগার কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্লাড সুগার কমানোর উপায়

ভূমিকাঃ ব্লাড সুগার কমানোর উপায়

ব্লাড সুগার এই জিনিসটা কেমন বাংলাদেশের কমন রোগ হিসেবে ছড়াচ্ছে। তেমনি আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সুগার নামটা কে আমরা ডায়াবেটিস নামে চিনি। ডায়াবেটিস আর সুগার একই কথা। আজকের এই আর্টিকেলে ব্লাড সুগার কি, সুগারের লক্ষন, ব্লাড সুগার কমানোর খাবার, ব্লাড সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায়, রক্তে সুগার কমানোর উপায়, উক্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের এই পোস্টের, আপনারা যারা ব্লাড সুগার কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

ব্লাড সুগার কি

ব্লাড সুগার কি ? সাধারনত সুগার হলে আমাদের ব্লাড সুগার হয়ে থাকে।  আমাদের শরীরে সুগার হলে আমাদের রক্ত সুগার হয়ে থাকে তাই আমরা এটাকে ব্লাড সুগার বলে থাকি। ব্লাড সুগার হাই হলে আপনি কি করে বুঝবে নিচে দেওয়া হল। 10 এর উপরে উঠলে মনে করবেন আপনার ব্লাড সুগার হাই। ব্লাড সুগার হচ্ছে সাইলেন্ট কিলার।

আরো পড়ুনঃ লম্বা হওয়ার উপায়

অনেকে মনে করে যে মিষ্টি খেলে ব্লাড সুগার হয়। কিন্তু এটা ভুল কথা মিষ্টি খেলে ব্লাড সুগার হয় এটা ঠিক কথা কিন্তু অনেকগুলো কারণের ব্লাড সুগার হয়ে থাকে। নিম্নে সুগারের লক্ষণ বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

সুগারের লক্ষণ

প্রাথমিকভাবে সুস্থ মানুষের বেশি ব্লাড সুগার ডায়াবেটিসের কারণ হবে না। দীর্ঘদিন ধরে আপনি যদি সুগার নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে অন্যান্য কারণে কখন যে আপনার ডায়াবেটিস হয়ে যাবে আপনি নিজেও টের পাবেন না। আপনার যদি আগে থেকেই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।

তাহলে আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা অতি দ্রুত কার্যক্রম। কি কি কারণ দেখলে আপনার শরীরের ব্লাড সুগার হাই লেভেল হচ্ছে কিনা তা বুঝবেন কি করে নিম্নে কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. রাতে মূত্র ত্যাগের জন্য ঘুম ভাঙ্গা

আমরা দিনে যদি বেশি পরিমাণ পানি খাই তাহলে মধ্যরাত্রে মূত্রত্যাগ এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আপনার যদি সুগার হাই হয়ে যায় তাহলে ইউরিনারি পেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা রাতে মূত্র ত্যাগের জন্য ঘুম ভাঙ্গায়। রাতে মূত্র ত্যাগের জন্য যদি প্রতিদিন উঠতে হয় তাহলে আপনি ভাববেন আপনার সুগার বেশি হয়ে গেছে।

২. সুগার নিয়ন্ত্রণের খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে

সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত আমাদের পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।

৩. ঝাপসা দৃষ্টি

একটু বয়স বাড়লে সবাই চোখে ঝাপসা দেখবে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে ঝাপসার একটি বড় কারণ হচ্ছে ব্লাড সুগার হাই হয়ে যাওয়া। রক্তে সুগার বাড়লে চোখে রক্ত পরিবহন তন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। চোখের লেন্সে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমা হয়ে চোখ ফুলে যায়। ফলে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকে। আপনি যদি সুগার নিয়ন্ত্রণের না এনে চোখের জন্য চশমা পরেন তাহলে পরে বিপদ হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাই ব্লাড রক্তের চিকিৎসা করান।

৪. মনোযোগের সমস্যা

কিছুদিন ধরে কি আপনি কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছেন না? যদি সত্যি বসাতে না পারছেন তাহলে আপনার ব্লাড হাই হয়ে গেছে। শরীরে ইনসুলিনের অভাব করলে রক্ত থেকে কোষের সুগার কম যাই। ফলে কোষ শক্তি কম পায়। কোষ শক্তি কম পেলে শরীরের অঙ্গ গুলো ভাল মতন কাজ করতে পারে না। আপনার স্নায়ুতন্ত্র ঠিক মতন কাজ করতে পারে না। ফলে আপনার ক্লান্তি আসে আপনি কোন কাজে মন বসাতে পারেন না। আপনার মনোযোগ যদি কম হয় তাহলে আপনি ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে পারেন।

৫. শুষ্ক মুখ

মুখ সবসময় শুকনা শুকনা লাগে? সুগার নিয়ন্ত্রণ হারানোর সম্ভাবনা আছে। তাই আপনি ব্লাড সুগার পরীক্ষা করেন।

৬. কাটাছেঁড়া সহজে না শুকানো

অনেক বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় কেটে যায়। ব্লাড সুগার থাকলে আপনার কাটাছেঁড়া সহজে শুকাবে না। 

ব্লাড সুগার কমানোর খাবার

এখন আমরা ব্লাড সুগার কমানোর খাবার কি কি খেতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লাড সুগারের খাবার গুলো কি কি। ব্লাড সুগার কমানোর জন্য আমাদেরকে খাদ্য তালিকা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম করতে হবে।

ব্লাড সুগার কমানোর জন্য প্রধানতম খাবার হচ্ছে মেথির বীজ। যা ব্লাড সুগার কমানোর জন্য খাদ্যের একটি বড় উৎস। মেথি বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে যা আমাদের ব্লাড সুগারের জন্য খুবই উপকারী। ব্লাড সুগার আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খাওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত ভাতের পরিবর্তে বেশি করে সবজি তরকারি খান। সুগার রোগীদের চিনি একদমই খাওয়া যাবেনা।

চিনি ছাড়া চা খেতে হবে সুগার রোগীদের একদমই চিনি খাওয়া যাবেনা। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সুগার রোগীদের যতসম্ভব পানি খেতে হবে বেশি করে। চা এর পরিবর্তে গ্রিন টি খেতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন ভুট্টা, ওটমিল, ব্রাউন রাইস, বজরা ইত্যাদি খাবার খেতে হবে

ব্লাড সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায়

ব্লাড সুগার কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়। ব্লাড সুগার যদি হাই হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এখন ব্লাড সুগার কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে বলবো। এগুলো মেনে চললে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।ব্লাড সুগার কমানোর জন্য আমাদেরকে খাদ্য তালিকা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কালোজিরার ঔষধি গুন

ব্লাড সুগার কমানোর জন্য প্রধানতম খাবার হচ্ছে মেথির বীজ। যা ব্লাড সুগার কমানোর জন্য খাদ্যের একটি বড় উৎস। মেথি বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে যা আমাদের ব্লাড সুগারের জন্য খুবই উপকারী। ব্লাড সুগার আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খাওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত ভাতের পরিবর্তে বেশি করে সবজি তরকারি খান। সুগার রোগীদের চিনি একদমই খাওয়া যাবেনা।

রক্তে সুগার কমানোর উপায়

হঠাৎ হঠাৎ ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল টা বেড়ে যায়। শরীরে সুগার লেভেল না যদি হারিয়ে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কথা বলাই ভালো। এবং ডাক্তারের যে পরামর্শগুলো দিবে সেগুলো নিয়মিত মেনে চলতে হবে। এবং যেসব খাদ্য খেতে বলবে সেসব খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর জন্য খেতে হবে। যেসব খাবার খেলে রক্তে সুগার বেড়ে যায় সেসব খাবার পরিত্যাগ করতেব হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে তাহলে আমাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিনিমুক্ত খাবার খেতে , হব। ব্যায়াম বা অনুশীলন বেশি বেশি করে করতে হবে। সুগারে আক্রান্ত লোকদের মিষ্টি জিনিস একদমই নিষেধ। রক্তে সুগার কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে হালকা করে হাঁটতে হবে।

শেষ কথাঃ ব্লাড সুগার কমানোর উপায়

ব্লাড সুগার এটি খুব একটি মারাত্মক রোগ। যেহেতু এই রোগটির একদম ভালো হয়ে যাওয়ার কোন ঔষধি বের হয়নি। তাই আমাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে । আশা করি আমি এতক্ষণ যা বুঝেছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তারা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে পোস্টটি পড়ুন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)